অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : যশোর বিআরটিএ র’ স্বপন কুমার দাস তিনি একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে রয়েছেন। তিনি একজন সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। স্বপন কুমার দাসসহ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, রেকর্ড রুমের দালাল সাইফুলসহ অন্যান্য দালালদের নিয়ে দিনের পর দিন অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের একাধিক খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে সে তার অফিস ডেক্স নং ৫ এর ভিতরে ৬ জন দালাল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন, অথচ এই স্বপন কুমার দাস যশোর বিআরটিএ র’ একজন সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে থেকে এত ক্ষমতা যে দালাল ছাড়া কোন কাজই তিনি করেন না তার ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়,যারা সেবা নিতে আসেন তাদেরকে দালালদের মাধ্যমে জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে কাজ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে বিআরটিএ যশোর অফিসে অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা ঢুকে দেখতে পেলেন, স্বপন কুমার দাসের ডেস্ক রুমের ভিতরে ৬ দালাল বসে কাজ করছেন।
যে সব দালাল দেখা গিয়েছে তারা হলেন দালাল রাসেল, দালাল বিদ্যুৎ, দালাল মিরাজ, দালাল বিশ্বজিৎ, দালাল তানভীর, দালাল মুস্তাক এদের মাধ্যমে লাইসেন্স সেকশনের যাবতীয় টাকা স্বপন কুমার দাসের হাতে পৌঁছায় এই ৬ দালাল চক্রটির মাধ্যমে এদের মুল কাজ হচ্ছে লাইসেন্সের ভুল ভ্রান্তি ধরে গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নেয়া। এই স্বপন কুমার দাস অফিস আওয়ার শেষে অতিরিক্ত ঘুষের টাকা জমা দেয় যশোর বিআরটিএ রেকর্ড রুমের ভিতরে থাকা দালালদের প্রধান সাইফুল ইসলাম এর নিকট জমা দেওয়া হয়। দালাল সাইফুল পরে সবাইকে ভাগ বন্টন করে দেন।
স্বপন কুমার দাসসহ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাইফুল ইসলামকে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করতে রেকর্ড রুমের ভিতরে বসিয়ে রাখেন। যশোর বিআরটিএ অফিসের প্রত্যেক ডেক্স রুমের ভিতরে জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সামনে দেখা গেল শুধু দালাল আর দালাল এই দালালদের দৌরাত্মের ক্ষমতার উৎসাহ কি তারা সারা দিন বিআরটিএ র’ নিজ থেকে অফিসের ভিতর পর্যন্ত কি করেন, সেই বিষয়ে কয়েক জনের কাছে জানতে চাইলে তারা অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ম্যানেজ করে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে দালালেরা অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে থাকেন দীর্ঘদিন যাবত। অথচ এই দালালদের এত পরিমাণ দৌরাত্ম বেরে গেছে যে কাউকেই মানতে চাইছে না, ভিতরে এক দালালকে প্রশ্ন করলে সে কোন কথা না বলে অতি দ্রুত বিআরটিএ এর অফিস থেকে বেরিয়ে গেল পরে আশপাশের লোকজনকে প্রশ্ন করলে কয়েক জন অজ্ঞাত ব্যক্তি বলেন এই দালালরা এখানে কাজ করেন। স্বপন কুমার দাসকে মুঠো ফোনে প্রশ্ন করলে তিনি অনুসন্ধান টিমের পরিচালককে বলেন যে ভাই আমরা ও কাজ করি আপনারাও পত্রিকাতে কাজ করেন আমরা সবাই তো ভাই ভাই অফিসে আসেন আপনার সাথে কথা বলব তখন অনুসন্ধানের পরিচালক বলেন যে আমার পত্রিকার নামে আপনি এবং রিফাত হোসাইন, দালাল সাইফুল ইসলামসহ অনেকে বাজে মন্তব্য করেছেন তখন তিনি বলেন ভাই আমরা কেন আপনার পত্রিকার নামে বাজে কথা বলব আমরা কি তাই বলতে পারি।
এই শোভন কুমার দাস ও দালাল সাইফুলসহ, দালাল মুস্তাক, দালাল বিদ্যুৎ, দালাল বাপ্পা দালাল মিরাজ ও তানভীরসহ যশোর বিআরটিএ এর মধ্যে যত দালাল রয়েছে সব এবং কর্মকর্তা রিফাত জিনি যশোর বিআরটিএ র’ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি ও বলেছেন যে জাগ্রত জনতা পত্রিকা নিউজ করে কিছু করতে পারবে না এবং আরো খারাপ ভাষা করলে আমাদের কি করতে পারবে কিছুই করতে পারবে না। রিফাত হোসাইনকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জাগ্রত জনতা পত্রিকা এরই মধ্যে অনুসন্ধানের ৪ টি নিউজ পাবলিস্ট করেছে। প্রথম নিউজ করা হয়, মোঃ নাসিরুল আরিফিন তিনি যশোর বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, নিউজ করার পরে খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের সাথে অনেক বার চেষ্টা করা হয়েছে কথা বলার জন্য পরিচালক ফোন রিসিভ করেননি, তার পরেও আরো ৩টি অনুসন্ধানের প্রতি নিবেদন করা হয়েছে। রিফাত হোসাইন সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি এই জাগ্রত জনতা পত্রিকার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, পরে তাকে মুঠো ফোনে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।এই রিফাত হোসাইন ও স্বপন কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে একাধিক দালাল রয়েছে তাঁরা দালাল ছাড়া কোন কাজই করেন না জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার যশোর বিআরটিএ এর অনুসন্ধানের কাজ চলমান রয়েছে।
স্বপন কুমার দাস তিনি একজন বিআরটিএ যশোর অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে রয়েছেন তিনি ও ৬ জন দালালদের তার ডেস্ক রুমের ভিতরে বসিয়ে রেখেছেন এই দালালদের কারণে গ্রাহক যারা আসেন লাইসেন্সের কাজের জন্য তাদের জিম্মি করে সরকারি নিয়ম ছাড়াই অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন, যদি অতিরিক্ত ঘুষ না দেওয়া হয় তাহলে লাইসেন্সের অনেক ভুল ভ্রান্তি ধরে তার পরে তাদের কাছ থেকে দালালরা ঘুষ নিচ্ছেন।
দালালদের মাধ্যমে সব ঘুষের টাকা যাচ্ছে যশোর বিআরটিএ র’ অফিসে, অতিরিক্ত সব টাকা দালাল সাইফুল ইসলাম এর নিকট দেওয়া হয় তিনি অবৈধভাবে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করে আসছে ২০০৩ সাল থেকে কে এই সাইফুল এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায় যে যশোর বিআরটিএ র’ রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করছেন। স্বপন কুমার দাস, রিফাত হোসাইনসহ আরো অনেকে দিনের পর দিন দালালদের দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের রাজত্ব কায়েম করে আসছে।
দেখার কেউ নেই সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দাবি যশোর বিআরটিএ র’ যত দালাল রয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। দিন দিন যশোর বিআরটিএ র’ নিজ থেকে ভিতর পর্যন্ত দালালদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে যে কোন সরকারি দপ্তরে দালাল ঢোকা নিষেধ রয়েছে তার পরেও যশোর বিআরটিএ র’ দালালদের দৌরাত্ম বেড়েই চলছে, এদের যদি বিআরটিএ র’ থেকে উৎখাত করা না হয়, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে যত দ্রুত সম্ভব এদের আইনের আওতায় আনা হোক।