তানভীর আহাম্মেদ দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল ও বীরগঞ্জ উপজেলার মৃত আব্দুল বারীর পুত্র মোঃ ইয়াছিন কে সহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে এজারভুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বীরগঞ্জ থানায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ইং তারিখে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।২০ দলীয় জোট উক্ত নির্বাচন বর্জন করে।উক্ত নির্বাচনে প্রধান আসামি শ্রী মনোরঞ্জনশীল গোপাল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী হইয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এ সময় প্রধান আসামি শ্রী মনোরঞ্জনশীল গোপাল হুকুম ও নির্দেশ প্রদান করেন যে,২০ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করিয়াছে।
তাহারা যেন নির্বাচন ভন্ডল করতে না পারে সে জন্য জামায়েত,শিবির ও বিএনপি সহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের যাকে যেখানে পাও দেখামাত্রই হত্যা ও গুম করিয়া ফেলো।
গত ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ ইং তারিখ আমার পুত্র সালাউদ্দিন(১৬)বীরগঞ্জ থানাধীন গণপৈত গ্রামে তার খালার বাড়ি বেড়াতে যায়।পরের দিন ৫ জানুয়ারী ২০১৪ ইং তারিখ তার খালার বাড়ি গণপৈত হতে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তার বন্ধু মোঃআসাদুল(১৫),পিতা-মোঃআলিমুদ্দিন,সাং-সাহাডুবি,
(উত্তরপাড়া),থানা-বীরগঞ্জ,জেলা-দিনাজপুর এর বাড়িতে যায়।
পরবর্তীতে সালাউদ্দিন ও তার বন্ধু আসাদুল সহ দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় বাড়ির উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা করে।বীরগঞ্জ থানাধীন০১নং শিবরামপুর ইউনিয়নের ভেলাপুকুর(বাবুরহাট)নামক স্থানে পৌছা মাত্রই এজাহার নামীয় আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামিগণ সহ আসাদুল কে শিবির শিবির বলে দলবদ্ধভাবে হাতে থাকা লাঠি,লোহার রোড ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া তাদের পথ রোধ করে মারধর শুরু করে।এ সময় আসামি গন দলবদ্ধ হইয়া এলোপাতাড়ি ভাবে তাদের মাথা,মুখ,নাক,কান,হাত,পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
এমন হত্যার ঘটনা উল্লেখিত করে, তার মা জহুরা খাতুন মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৩, তারিখ:২৯-০৯-২০২৪ইং।
উক্ত এজাহারে উল্লেখিত মামলার বিবাদী গনের নাম,সাবেক সংসদ সদস্য দিনাজপুর-১আসনের শ্রী মনোরঞ্জনশীল গোপাল(৬৫), মোঃইয়াছিন(৪০)
মোঃমতিয়ার রহমান(মতি)(৫৫), মোঃশফিউল আজম(৪৭), মোঃআনোয়ার হোসেন(৪০), মোঃ সাদ্দাম হোসেন(৩২) মোঃ অনিক(৩২), মোঃ জাহেদ আলী(৩৫), মোঃ তোজাম্মেল হক রিমন(৪০), মোঃ ফজলুল হক(৫৫), মোঃ এলিন(৩৫), মোঃ আঃ খালেক(৫৫), মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া(৪০), মোঃ আঃ রাজ্জাক(৪৮), মোঃ ফয়জুল ইসলাম(৪৫), মোঃ সৌরভ(৩০), আঃ রাজ্জাক(৪৫), মোঃ সিদ্দিক হোসেন(৫০), আমিনুল ইসলাম(৪৮),সাদ্দাম(৩৮), শ্রী প্রিয়নাথ রায়(৪৫), মোঃ রেজাউল করিম শেখ(৫৫), মোঃ নুর ইসলাম (নুর)(৫২), মোঃ গোলাম মোস্তফা(৫৫), হেলাল ফকির(৫৫), মোঃ আশরাফুল ইসলাম(৩২), মোঃ রফিকুল ইসলাম(৫৫)।
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা রয়েছে ৯০/১০০ জন।
এ মামলার ৮নং আসামী জাহের আলীকে ৯নং সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর এলাকা থেকে রবিবার আনুমানিক রাত ৩টা ৩০ মিনিটে আটক করেছে পুলিশ। আসামীদের মধ্যে ৩নং শতগ্রাম ইউনিয়নের ৭ জন রয়েছে।
এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আমরা ২৭ জন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছি।অন্যান্য আসামী ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মামলার তদন্তভার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আশরাফুল ইসলাম কে দেওয়া হয়েছে।