1. admin@weeklyjagrotojanata.com : admin :
টঙ্গীর মাদকসম্রাজ্ঞী মোমেলার বাড়ি-গাড়ি থাকতেও থাকেন বস্তিতে - জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

টঙ্গীর মাদকসম্রাজ্ঞী মোমেলার বাড়ি-গাড়ি থাকতেও থাকেন বস্তিতে

জাগ্রত জনতা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ  রাজধানী লাগোয়া শিল্পনগরী টঙ্গী শিল্পনগরী এই টঙ্গীকে ‘মাদকের হাট’ও বলা হয়।এখানকার প্রায় প্রতিটি বস্তিতে চলে মাদকের রমরমা কারবার।

যৌথ বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান ও কড়া নজরদারিতে মাদক ব্যবসায় কিছুটা ছেদ পড়লেও বস্তিগুলোতে থেমে নেই এই সর্বনাশা নেশার কারবার।

এখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগ নারী। এসব মাদ্রকসম্রাজ্ঞী মাদকের কারবার করে গড়েছেন বিপুল সম্পদ, গাড়ি-বাড়ি। অনেকে তার পরও থাকেন বস্তিতে। কারণ কী?

টঙ্গীর বস্তিগুলোতে হরদম বিক্রি হচ্ছে মাদক। তবে খুবই সতর্কতার সঙ্গে। অপরিচিত কারও কাছে মাদক বিক্রি করেন না ব্যবসায়ীরা।জেল থেকে সোজা ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে তিন বাড়ির মালিক মোমেলা বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর।

টঙ্গীর আলোচিত মাদকসম্রাজ্ঞী মোমেলা বেগম (৪০)। থাকেন মাদক অধ্যুষিত টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ বস্তিতে। দির্ঘ সময় ধরে বস্তিতে বসে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা।মাদক ব্যবসা করে গড়ে তুলেছেন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

খোদ টঙ্গীতেই রয়েছে মোমেলার তিনটি অলিশান বাড়ি ও একাধিক গাড়ি। একাধিক বাড়ি-গাড়ি থাকা সত্ত্বেও বস্তি ছাড়েননি মাদক কারবারি মোমেলা।

মাদক মামলায় একাধিকবার জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ফের বস্তিতে গিয়ে ওঠেন তিনি। সেখানে বসে আবার চালিয়ে যান মাদক ব্যবসা। গত সৈরাচারী সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা ও প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চালিয়েছেন মোমেলা বেগমের মাদক সাম্রাজ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় চালান ও দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালান টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তিতে নিয়ে আসেন মোমেলা বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর।এরপর ছোট ছোট চালানে সেসব পৌঁছে দেন টঙ্গী ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।

স্থানীয় প্রশাসনের মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকার শীর্ষে রয়েছে জাহাঙ্গীরের বউ মোমেলা বেগমের নাম।মোমেলার মাদক বিক্রির টাকায় টঙ্গীতে কিনেছেন তিনটি বাড়ি।

৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের মরকুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন কুদ্দুস খলিফা রোডে ‘জাহিদ হাসান ভিলা’ নামে একটি বহুতল বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে তার। একই ওয়ার্ডের শিলমুন পূর্বপাড়া যুগীবাড়ি রোডে মাতৃকোল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির স্বপন মাস্টারের কাছ থেকে কেনেন অর্ধকোটি টাকার একটি বাড়ি।

পুবাইলের করমতলা পূর্বপাড়া আবাসিক এলাকায় পৌনে ৪ কাঠা জমির ওপর একটি আধাপাকা বাড়ি রয়েছে তার ব্যাংক মাঠ বস্তিতে রয়েছে একাধিক আধাপাকা ঘর।মোমেলা তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের কিনে দিয়েছেন চারটি মিনি ট্রাক ও সিএনজি।

মেয়েরজামাই পুলিশের কথিত সোর্স হৃদয়কে মোমেলার মায়ের নামে কিনে দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা দামের একটি মাইক্রোবাস এ ছাড়া টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মোমেলার রয়েছে নামে-বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

সূত্র জানায়, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোমেলার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানা, গাজীপুর ডিবি, র‌্যাব ও গাজীপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ১৭টি মাদক মামলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে মোমেলার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সাংবাদিকরা লিখলে আমার কিছুই হবেনা এমন বহু নিউজ হয়েছে আমার কিছুই ছিরতে পারেনি। মাদক কারবারি মোমেলা দাবি করেন মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। আরো বলেন, ‘ব্যাংক মাঠ বস্তির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ঘুরেফিরে শুধু আমার নামেই মামলা হয়।তিন-চার মাস আগে আমি মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি।

সম্পদের বিষয়ে মোমেলা বলেন, ‘টঙ্গীর মরকুনের বাড়িটি আমার নামে কেনা। সমিতির স্বপন মাস্টারের কাছে টাকা পাওনা ছিল, তাই তার কাছ থেকে বাড়িটি আমার মা লতিফা বেগমের নামে কিনেছি।

পুবাইলের বাড়িটি আমার স্বামী জাহাঙ্গীর জমি বিক্রি করে কিনেছেন একটা প্রাইভেটকার কেনা হয়েছে মা লতিফা বেগমের নামে, যার নমিনি আমি। এ ছাড়া একটি পিকআপ ও সিএনজি কিস্তিতে কেনা হয়েছে বলে জানান মোমেলা।

সরেজমিনে দেখা যায় মোমেলার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করেন রেখেছেন বেশ কয়েকজন সেলসম্যান।সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকে ম্যানেজ করে পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন এই মাদক কারবারি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর