দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব নাজমুল হাসান, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমূল হক থানার স্বর্গীয় ফোর্স সহ রাতভর অভিযান চালিয়ে উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে ডলার প্রতারনা,মোটরসাইকেল চোর ও মাদক মামলা সহ১০ টি মামলার ৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
খানসামা থানা পুলিশ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ডলার প্রতারনা,মোটরসাইকেল চোর ও মাদক মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের খানসামা উপজেলার রামনগর এলাকার জেলে পাড়ার আনন্দ দাসের ছেলে ভবানী দাস (৩৫), প্রভাস দাসের ছেলে চঞ্চল দাস ওরফে কেতু (৩৩), রামপ্রসাদ চন্দ্র দাসের ছেলে ভরত চন্দ্র দাস (২৮), সুকুমার দাসের ছেলে সুবাষ দাস (৩১) ও মানিক দাস (২৯)।
মোটরসাইকেল চোর হলেন নীলফামারীর সদরের উত্তর মশিরত কুখাপাড়া এলাকার মাস্টার পাড়ার জিয়াউর রহমানের ছেলে রাজু ইসলাম (২২) ও ডলার চক্রের প্রতারক দিনাজপুরের খানসামার পানুয়াপাড়া এলাকার আদর্শ গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে তপন চন্দ্র রায় (২৮)।
গ্রেফতারকৃত মোঃ শেফাউল ইসলাম এর কাছ থেকে জানা যায় সে দীর্ঘদিন যাবত কিভাবে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। উক্ত প্রতারক বিভিন্ন নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে “আমার কাছে কিছু বিদেশী ডলার আছে, আমার ভাই সিলেটে রিক্সা চালানোর সময় ০১ ব্যাগ টাকা কুড়ে পেয়েছেন, উক্ত টাকা বাড়ীতে নিয়া আসিয়া মাটিতে পুতে রাখিয়াছে, আপনি এসে টাকা গুলো দেখে যান” এইসব বলে ডলারের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারন জনগনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়।এ সময় চোর চক্রের কাছ থেকে ট্রান্সমিটারের খালি বক্স জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে এ খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমূল হক বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়। মোটরসাইকেল চোর ব্যাতিত প্রত্যেককের নামে মামলা রুজু করা হয়। সর্বমোট সাত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।এ সময় খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন চুরি, জুয়া, মাদকসহ সকল অপকর্ম ঠেকাতে খানসামা থানা পুলিশ বদ্ধপরিকর ও তৎপর রয়েছে।