খুলনার কয়রা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পেট্রোল ঢেলে দিনমুজুর মনি দফাদার নামের এক ব্যাক্তির বসত বাড়িতে আগুন দিয়ে মোট ৩ টি ঘর সহ একটি মটর চালিত ইজিবাইক, পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রাতের আধারে কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌকুনি গ্রামে দফাদার বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
স্হানীয়রা জানান, পূর্বে তাদের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা জমির দখল না পেয়ে অগ্নিসংযোগ করে। প্রজ্বলিত অগ্নিকাণ্ড তিন দিন ধরে জ্বালতে থাকে। তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিতে দুর্বৃত্তরা আরও চড়াও হয়ে ধারালো দা,শাবল, চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এতে তিন ঘরের ১২০ মণ ধান ,২ ভরি স্বর্ণের অলংকার,৩ টি মনিটর,৩ টি ফ্রীজ ৩ টি পানির ট্যাংকি সহ প্রকাশ্য দিবালোকে পুড়িয়ে ছাই করে দেন। এছাড়াও ১৬ বিঘা মৎস্য ঘের থেকে মাছ এবং হাঁসের খামার থেকে ২০০ পিচ হাঁস নিয়ে তারা চলে যায়,।
এ ঘটনায় মনি দফাদার বাদী হয়ে পাশের ঘর এবং একই গ্রামের মহাররম গাজী (হোতা) এর নেতৃত্বে ,রাজ্জাক সরদার , রবিউল সরদার,কাঁলাচান সরদার,মনিরুল সরদার,রহিম গাজী,নজরুল গাজী,খলিল সরদার, ইয়াছিন সরদার সহ অজ্ঞাত ৮/৯জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী দুর্বৃত্ত ।পারিবারিক বিরোধের জেরে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র -শস্ত্র নিয়ে সব কিছু ভাংচুর করে পেট্রোল ঢেলে ঘর- বাড়ি পুড়িয়ে দেন এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেন। এমন কি মূল ষড়যন্ত্রকারী হোতা মহররম গাজী ষড়যন্ত্র করে ২০২২ সালে একই ভাবে রাম- দা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মনি দফাদার ও তার ৯ ছেলেকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন ।তার প্রমাণ হিসেবে খুলনা মেডিকেলের পুলিশ কেইস সার্টিফিকেট সহ ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে ।তাহাতে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় ভুক্তভোগীদের কোপের চিহ্ন গুলি। ঘটনার দিন মনি দফাদারের ছেলেরা তার ভাই সাংবাদিক আলমগীর হোসেন এর বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে মহররম গাজী পেট্রোল ঢেলে ঘরে আগুন দেয়। রাজ্জাক ও রবিউল সরদার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মনি দফাদারের বোন রহিমা বিবি দেখতে পায়। ঘরের বাইরে শিশু বাচ্চা ও তাদের আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর আগেই ঘরের সব আসবাবপত্র সহ তিনটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জানা যায় আসবাবপত্র সহ সব মিলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকার মালামাল বিনিষ্ট করা হয়।
ইউপি সদস্য ফেরদৌস ঢালী বলেন, খবর পেয়ে আমি সকালে মনি দফাদারের ঘর দেখতে গিয়েছি। ঘরসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘরের আসবাবপত্র সহ প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ্য টাকার মালামাল বিনষ্ট করা হয় ।নজরুল গাজী, ও খলিলদের সাথে তাদের পূর্ব শত্রুতা আছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মো: গোলাম কিবরিয়া / বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ধীরেন্দ্র প্লাজা (৫ তলা), কলেজ গেইট, টঙ্গী, গাজীপুর। মোবাইলঃ 01785465360
Copyright © 2024 জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা. All rights reserved.