অনুসন্ধানের প্রথম পর্ব
যশোর সদরের বারীনগর বাজার (সাতমাইল) এলাকায় সিয়াম ফুয়েল এজেন্সী যার মালিক প্রোঃ মোঃ আলতাফ হোসেন, অবৈধ ভাবে দিনে ও রাতে গাড়ি থেকে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। সিয়াম ফুয়েল এজেন্সীর মালিক প্রোঃ মোঃ আলতাফ হোসেন এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়।
এই আলতাফ হোসেন গত ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে দিনে এবং রাতে চোরাই ভাবে ডিজেল ও পেট্রোল অল্প টাকায় কিনে পরে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২ থেকে ১ টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা অফিসে জানান যে যশোর সদরের বারীনগর বাজার এলাকায় সিয়াম ফুয়েল এজেন্সী নামে এক অবৈধ তেলের দোকান রয়েছে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি বলেন রাত দিন ২৪ ঘন্টা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে অল্প টাকায় তেল কিনে পরে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে দিঘদিন যাবত।
এই তথ্য মোতাবেক সত্যতা নিশ্চিত করতে সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিম ও মাতৃজগত টিভির সাংবাদিক যশোর সদর থেকে সিয়াম ফুয়েল এজেন্সী ঢাকা রোড, যশোর ঝিনাইদহ সড়কের বারীনগর বাজার (সাতমাইল) তেলের দোকানে পৌঁছায় দেখা গেল, মোটরসাইকেল ভটভটি নসিমনসহ বিভিন্ন গাড়ি অবৈধ এই সিয়াম ফুয়েল এজেন্সী দোকান থেকে ডিজেল ও পেট্রোল নিতে দেখা গেছে, যে সব গাড়িতে তেল নিয়েছেন তাদের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলেছেন তাঁরা বলেন আমরা এখন থেকে তেল অনেক দিন যাবত নিতেছি তাদের যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনারা পাম্পের থেকে তেল নেন না কেন নিয়ম রয়েছে পেট্রোল পাম্প ছাড়া বাহিরের খোলা কোন দোকান থেকে পেট্রোল নেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে নিয়ম না মেনে তেল নিচ্ছেন কেন তখন তাঁরা বলেন যে পাম্পে তেল কম হয় কিনা তা বুজা যায় না।
কিন্তু এই খান থেকে তেল নিলে আমাদের সামনে সঠিক ভাবে তেল ডেলে দেয়। এরই মধ্যে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রাক সিয়াম ফুয়েল এজেন্সীর সামনে এসে গাড়িটি রাখে পরে সাংবাদিকদের দেখে আবার গাড়িটি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ট্র্যাকটিকে দারকরানো হয়।
ট্র্যাক ড্রাইভার মোঃ জাকির হোসেন গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো ট, ১৪৫৬১৮ এই গাড়ি থেকে ড্রাইভার তেল চুরি করে বিক্রি করার জন্য দারিয়ে যায়। পরে সিয়াম ফুয়েল এজেন্সীর সামনে থেকে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলেন আমি গাড়ি দাঁড় করেছি তেল চুরি করে বিক্রি করার জন্য তখন সাংবাদিককে বলে আমরা আগেও অনেক বার এই অবৈধ সিয়াম ফুয়েল এজেন্সীতে তেল চুরি করে বিক্রি করেছি। সরকারি নিয়ম রয়েছে অবৈধ ভাবে কোন ধরনের পাম্প ছাড়া পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না অথচ যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে টেবিল রেখে বোতলে করে অবৈধ ভাবে পেট্রোল বিক্রি করে আসছে। সরকারি ভাবে নিয়ম রয়েছে শুধু ডিজেল ও কিরোসিন খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন, এই অবৈধ সিয়াম ফুয়েল এজেন্সী গত ৩০ বছর ধরে চোরাই ভাবে তেল ব্যাবসা করে আসছে তার কোন কাগজপত্র নেই তাকে এই বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করছি কেউ কখনো আমাকে কোন কাগজপত্র করতে বলেননি আমার শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে তাও দোকান থেকে বের করে দেখাতে পারেননি আলতাফ হোসেন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনি এই যে রাতে ও দিনে চোরাই ভাবে বিভিন্ন গাড়ি থেকে তেল কিনছেন এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা করা নিষেধ রয়েছে সে সাংবাদিকদের বলেন আমি এভাবে গাড়ি থেকে চোরাই তেল কিনে আসছি এবং কিনব আপনারা আমার কিছু করতে পারলে করেন নিউজ করে যদি আমার কিছু করতে পারেন করেন আমার কিছু যায় আসে না। এবং ওই সময় বিভিন্ন লোককে ফোন দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয়, এই সিয়াম ফুয়েল এজেন্সীর মালিক মোঃ আলতাফ হোসেন তার নাকি অনেক দুর পর্যন্ত হাত রয়েছে ও অনেক ক্ষমতাও রয়েছে যা পারেন করেন দেখি আপনারা আমার নামে নিউজ করে আমার চোরাই তেল কেনা ঠেকাতে পারেন কিনা তাও আমি দেখে নিব সাংবাদিকদের আরো বলেন আপনাদের মত অনেক সাংবাদিক আসল গেল কিন্তু আমি এই খানে গত ৩০ বছর ধরে চোরাই তেলের ব্যবসা করে আসছি কেউ কিছু করতে পারেনি আর পারবেও না।
সারাদিন রাত হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে থাকে, রাতে ও দিনে সব সময় রোডের উপর গাড়ি দাঁড় করে চোরাই ভাবে গাড়ি থেকে তেল পাইপের মাধ্যমে বের করে দেখার কেউ নেই অবৈধ ভাবে সরকারি নিয়ম না মেনে এভাবেই চলছে রমরমা চোরাই তেলের ব্যবসা এই আলতাফ হোসেন বাদেও ওই রোডের পাশে আরো অনেক অবৈধ চোরাই তেলের দোকান রয়েছে তাঁরা রাত ৮ টার পর থেকে সারা রাত গাড়ি থেকে অবৈধ ভাবে মেইন রোডে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বছর কে বছর চোরাই তেলের ব্যবসা করে আসছে।
প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা অতি দ্রুত এই ধরনের প্রত্যেকটা মহাসড়কের পাশে অবৈধ চোরাই তেলের ব্যবসা যারা করছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।