যশোর জেলা রিপোর্টার : যশোর রেলগেট এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ ছিনতাইচক্র। দিন-দুপুরে এরা ছিনতাই করে।
দিন-রাত সারাক্ষণ চক্রটির সদস্যরা ওৎ পেতে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে সটকে পড়ে। কেউ প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। শুক্রবার তারা স্থানীয় একটি ছাত্রাবাসের এক ছাত্রের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে এক স্যানেটারি মিস্ত্রিকে কুপিয়ে তার কাছ থেকেও মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী হাসিনা বেগম (৬০) ঝামেলা না করে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে কুপিয়ে হাত থেকে একটি আঙুল বিছিন্ন করে দিয়েছে। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান-আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা দু’জনই শঙ্কামুক্ত।
আহত হাসিনা বেগম জানান, শুক্রবার বিকালে এই এলাকার নিলয়, জয় ও অমিত স্থানীয় ছাত্রাবাসের এক ছাত্রের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। বিষয়টি তিনি দেখে ফেলেন। সন্ধ্যার পর এই মোবাইল সেট নিয়ে এলাকায় গোলযোগ হচ্ছিল। তখন তিনি নিলয়কে ছিনতাই করা মোবাইল ওই ছাত্রকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। তখন ছিনতাইকারী নিলয় রাগান্বিত হয়ে হাতে থাকা হাসুয়া দা জাতীয় কিছু দিয়ে হাসিনার বাম হাতে কোপ মারে। এতে হাসিনার বাম হাতের একটি আংগুল কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মহিলা সার্জারি অর্ডার ডাক্তার ইকরাম হোসেন বলেন, আহত হাসিনার বাম হাতের শাহাদত আঙ্গুল কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়েছে।
এরমাত্র কয়েকদিন আগে স্টেশন থেকে এক যাত্রীর ল্যাগেজ নিয়ে দৌঁড়ে পালায় এসব চিহিৃত ছিনতাইকারী চক্র। এ সময় যাত্রীর হাউ-মাউ কান্না দেখে স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারীকে ধরতে পেছন থেকে পাথর ছুড়তে থাকেন। সেই পাথর লেগে গুরুতর জখম হন যশোর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্র।
স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ এই অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন