1. admin@weeklyjagrotojanata.com : admin :
যশোর বিআরটিএ র' রিফাত হোসাইন এর বিরুদ্ধে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও ৮৫০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে - জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বান্দরবানে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক মহিলা গুরুতর আহত সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের ফাঁকা গুলি, আতঙ্কিত স্থানীয়রা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা ফরিদপুরে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ বছরের শুরুতেই মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজের চাপ গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যু একরাতে পাঁচ আসামি গ্রেফতার করলো ধনবাড়ী থানা পুলিশ শার্শার সাতমাইল পশুর হাটের টাকা বেশুমার লুটপাটের অভিযোগ অসকস বাংলাদেশ পত্নীতলা শাখার আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ

যশোর বিআরটিএ র’ রিফাত হোসাইন এর বিরুদ্ধে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও ৮৫০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে

জাগ্রত জনতা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআরটিএ) যশোর কার্যালয়ের সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এবং অনিয়ম ভাবে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন ও দালাল সাইফুলসহ আরো ১০ দালালের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস ও ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, রিফাত হোসাইনসহ দালালের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত, যশোর বিআরটিএ অফিসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ না করলেই গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়। এতে যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে সেবা নিতে গেলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়, এখানে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। সম্প্রীতি যশোর বিআরটিএ’ অফিসে গ্রাহকদেরকে ঘুষের কারণে পদে পদে হয়রানি হতে হচ্ছে। ঘুষ না দিলে গ্রাহকদের কোন ফাইল পাস করেন না রিফাত হোসাইন, যশোর বিআরটিএ’ তে, রিফাত হোসাইন যোগদান করেছে ১৮ ই জুলাই ২০২১ সালে আসার পর থেকেই ১০ জন দালাল নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এই রিফাতের ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায় কার ক্ষমতার জোরে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে আসছে দীর্ঘদিন দালালদের মাধ্যমে, এই রিফাত হোসাইন সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে মোটরসাইকেল পরিদর্শন ও পরীক্ষা বোর্ডের পরিদর্শনের দায়িত্ব পালন করছে।

পরীক্ষা বোর্ডে সেবা নিতে গ্রাহকদের ঘুষ ছাড়া পাস করা হয় না যদি ঘুষ না দেয়া হয় তাহলে কাগজপত্রে এমন পদে পদে ভুল ধরা হয় বা তাকে বারবার অফিসে এসে ধরনা ধরতে হয়। তার পরে ও সেই সকল গ্রাহককের কাজগুলো সঠিক ভাবে সমাধান হয় না। যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে দালাল চক্রের কারণে এখানে পা দেওয়ার মত বিন্দুমাত্র জায়গায় পাওয়া যায় না। যশোর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে অনুসন্ধানে। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুঠো ফোনে অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের বলেন যে তার কাছে পরীক্ষার বোর্ড থেকে রিফাত নামে এক কর্মকর্তা আমার কাছে পরীক্ষায় পাস করে দেয়া হবে বলে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চেয়েছে আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে পরীক্ষায় ফেল করে দিয়েছে। জাগ্রত জনতার অনুসন্ধান টিমের কাছে সে অভিযোগ করেছে, এবিষয়ে রিফাত হোসাইনের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি পরে তাকে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়েছিল কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেননি। যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ের এই পর্যন্ত কয়েকবার অনুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তার পরে ও দালাল চক্রকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না কর্মকর্তাদের, কি কারণ আর কোন কারণে দালালদের অফিস থেকে নির্মূল করতে পারছে না তাহলে কি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন দালালেরা সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অনিয়ম ভাবে অসম্ভব কে সম্ভব করেই ঘুষ বাণিজ্যের সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করছে। অথচ এই দালাল চক্রকে অফিস থেকে বের করতে পারছেন না কেউ।

অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী রেকর্ড রুমে থাকা দালাল সাইফুলসহ, দালাল তুহিন, দালাল বাপ্পা, দালাল মামুন, দালাল মনির, দালাল সিহাব, দালাল মিথুন, দালাল আশিক, দালাল তানভীর, দালাল মোস্তাক, দালাল ইসানুর, দালাল বিদ্যুৎ, এই দালালের সাথে যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুসম্পর্ক রয়েছে। ডিসেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেন কয়েক দালালকে মুসলিকা সহ জরিমানা করেন, তার পরে ও দালাল চক্র নির্মূল হয়নি। অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন এর নির্দেশে কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের দালাল সাইফুল থেকে শুরু করে ভিতরের সব জায়গায় দালাল চক্রকে সব চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন এই কর্মকর্তা। অফিসের ভিতরে ও দালাল চক্রকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করেন তেমনি পরীক্ষার বোর্ডের মাঠে ও সেই একই ভাবে দালালদের নিয়ন্ত্রণ করেন রিফাত হোসাইন। কি কারণে সরকারি অফিসের ভিতরে দালাল চক্র থাকে কেন আর কেনই বা থাকে। এই কর্মকর্তা রিফাত হোসাইন এর নির্দেশে এবং রেকর্ড রুমে থাকা দালাল চক্ররের প্রধান সাইফুলের নির্দেশে ভিতরে যত দালাল চক্র থাকে এরা সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দিনের পর দিন জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ আদায় করে আসছে। বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এবং যশোর বিআরটিএ র’ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সপ্ত
ছায়ায় অনেক বড় কৌশল অবলম্বন করে দালাল চক্র এই কর্মকর্তা রিফাতের নির্দেশে গ্রাহকদের পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন। এই রিফাত হোসাইন টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এই কর্মকর্তা দালাল চক্রকে এমন ভাবে ফিট করেছে গ্রাহকদের অতিষ্ঠ করে ফেলতে লাগে,এই দালাল চক্রকে ধরলে ১ মাসের কাজ নিমিষেই চোখের পলকেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। তবে কোন সঠিক ভাবে কাজ করতে গেলে গ্রাহককে দীর্ঘদিন যাবত ঘুরতে হয়। এবং সেই সকল গ্রাহক সঠিক কাগজপত্র জমা দিয়েও কাজ করতে পারে না। এই কর্মকর্তা সিফাতের দালাল চক্ররের কাছে অফিস থেকে শুরু করে পরীক্ষার বোর্ড পর্যন্ত সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা জিম্মি, যশোর বিআরটিএ অফিসের সকল দুর্নীতি ও দালাল চক্র নির্মূল করার বিষয়ে দেখার কেউ নাই। মানুষের বিবেক কি আজ নিম্নমানের হয়ে গেছে, মানুষ কি বিবেকহীন হয়ে গেছে যে ঘুষ ছাড়া কিছুই চেনে না। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে যত দ্রুত সম্ভব যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ের ভিতর থেকে দালালদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর