অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: যশোর বিআরটিএ র' অফিস সহয়ক মুন্সী আব্দুল আলীম ও রিফাত হোসাইন মোটরযান পরিদর্শক এই দুই জনের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছে লাইসেন্স নবায়ন করে দেওয়ার কথা বলে মুন্সী আব্দুল আলীম অফিস সহয়ক চেয়েছেন ৮০০০/ টাকা এবং রিফাত হোসাইন মোটরযান পরিদর্শক তিনি চেয়েছেন ৮৫০০/ টাকা।
সেবা নিতে আসা ব্যক্তি জানায় আমি লাইসেন্স নবায়ন করতে বিআরটিএ অফিসে আসি, এসে অফিসের ভিতরে ঢুকে মুন্সী নামে একজনের সাথে কথা বলি সে আমার কাছে ৮০০০/ টাকা ঘুষ চায় আমি তার সাথে টাকার বিষয় কোন কথা না বলে নিচে চলে আসি এসে আবেদন কপি নিয়ে পরীক্ষার মাঠে চলে যায়। পরীক্ষার মাঠ থেকে রিফাত হোসাইন তার কাছে পরীক্ষায় পাস করে দেওয়ার কথা বলে ৮৫০০/ টাকা ঘুষ চায় ঘুষের টাকা তাকেও না দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আমি চলে আসি পরের দিন আমার মোবাইলে ফেল করার একটা কপি পাঠিয়ে দেয়। আমি পড়ে দেখতে পাই যে আমি পরীক্ষাতে ফেল করেছি তখন মনে পড়ে যায়, যে পরীক্ষার মাঠ থেকে আমার কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন।
ঘুষ না দেওয়ার কারণে আমাকে পরীক্ষায় ফেল করে দেয়। ভুক্তভোগী যশোর বিআরটিএ তে, আসেন এইটা জানার জন্য সে কি কারণে ফেল করেছে অফিসের সামনে আসলে ওই মুহূর্তে দেখা হয়, জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সাথে সে তখন সাংবাদিকদের বলে যে ভাই আমি দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং করছি অথচ অফিস থেকে আমার কাছে দুই জন ঘুষ চেয়েছিল কিন্তু আমি ঘুষ না দেওয়ার কারণেই আমাকে পরীক্ষায় ফেল করে দিয়েছে, তখন অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন যে আপনার কাছে কে কে ঘুম চেয়েছিলো তখন ভুক্তভোগী বলেন প্রথমে আমি অফিসের ভিতরে যায় যেয়ে মুন্সী নাম করে উনার সাথে কথা বলি যে আমার লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে, তখন মুন্সী আব্দুল আলীম বলে যে আপনার লাইসেন্স করে দেয়া যাবে তবে আমাকে ৮০০০/ টাকা দিতে হবে, তখন ভুক্তভোগী এত টাকার কথা শুনে ভয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। অফিসের নিচে যেয়ে কম্পিউটার থেকে আবেদন কপি বের করে চলে যায় পরীক্ষার মাঠে, মাঠে যেয়ে পরীক্ষার রুমের ভিতরে বসে ছিল রিফাত নাম করে এক স্যার আমি উনাকে বলি স্যার আমি লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য পরীক্ষা দিতে আসছি তখন রিফাত হোসাইন একথা শুনে বলেন আপনি কি কারো মাধ্যমে আসছেন তখন ভুক্তভোগী বলে যে না আমি একাই আসছি তখন যশোর বিআরটিএ র' মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন ভুক্তভোগীকে বলেন আপনাকে পাস করে দেওয়া যাবে তবে আমাকে ৮৫০০/ টাকা দিতে হবে। তখন ভুক্তভোগী টাকা দিতে রাজি হয় না, কোন ঘুষের টাকা না দিয়েই পরীক্ষা দিয়ে চলে যান পরের দিন তাকে পরীক্ষায় ফেল করেছে এই ধরনের একটা কপি তার মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অফিস থেকে।
এই মুন্সী আব্দুল আলীম যশোর বিআরটিএ র' অফিস সহয়ক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং রিফাত হোসাইন মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন এই দুই জনই সরকারি চাকুরী করেন। অথচ সরকারি নিয়ম না মেনে তারা যশোর বিআরটিএ র' অফিসকে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য বানিয়ে রেখেছে এরা। যশোর বিআরটিএ র' ভিতরে যে সব দালাল চক্র রয়েছে এই দালালরা সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন।
মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন, বিভাগীয় উদ্বোধন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দালালদের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত। এই রিফাত হোসাইন ও মুন্সী আব্দুল আলীম গ্রাহকদের সাথে অনেক খারাপ ভাষায় কথা বলে থাকেন, যা একজন সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে বরাবরই লজ্জা জনক ঘটনা। মুন্সী আব্দুল আলীম যশোর বিআরটিএ র' একজন অফিস সহয়ক পদে কর্মরত আছেন অথচ সে এমন ভাবে মানুষের সাথে কথা বলে থাকেন, মনে সে অফিসের অনেক বড় একজন কর্মকর্তা, সাধারণ একজন অফিস সহয়ক হিসেবে চাকরি করেন অথচ সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে জিম্মি করে অনিয়ম দুর্নীতি করে দীর্ঘদিন যাবত ঘুষ নিতে দ্বিধাবোধ করেন না। এই মুন্সী আব্দুল আলীম, রিফাত হোসাইনের নির্দেশে ঘুষ নিয়ে থাকেন, মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন, ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেন না।
এরা দীর্ঘদিন যাবত যশোর বিআরটিএ তে, দালালদের মাধ্যমে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে আসছেন। যশোর বিআরটিএ র' ভিতরে মুন্সী আব্দুল আলীম ও রিফাত হোসাইনের নির্দেশে দালালদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে দেখার কেউ নেই। এভাবে যদি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দালালদের দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য করেন তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে, সরকারি অফিসের উপর থেকে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অফিসের ভিতরে কোন দালাল থাকার কথা না থাকলে ও যশোর বিআরটিএ র' ভিতরে এই ধরনের নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে অনিয়ম দুর্নীতি করছে, নজিরবিহীন ঘটনা দিনের পর দিন ঘটে চলেছে যশোর বিআরটিএ র' অফিসে। একজন সেবা নিতে আসা গ্রাহক বিআরটিএ তে, আসেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স করতে অথচ অফিসের সামনে আসলেই দালালদের ছাড়া কোন ভাবেই লাইসেন্স করতে পারেন না এই ধরনের কাজ যদি সরকারি দপ্তরের ভিতরে হয় তাহলে কি হবে এত নিয়ম করে, যে নিয়ম কোন কাজেই আসে না।
এই ঘুষের নিয়ম যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে সরকারি দপ্তর থেকে। জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কথা বলা হয়েছে সাধারণ মানুষ যশোর বিআরটিএ র' শুধু দালালদের উচ্ছেদ করে দেওয়ার কথা বলেছেন সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের মাঝে সরকারি দপ্তরের উপর থেকে আস্থা উঠে গেছে তারা সরকারি অফিসে আর দালাল দেখতে চান না।
প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা আসা করছেন যত দ্রুত সম্ভব যশোর বিআরটিএ র' থেকে দালালদের ধরে আইনের আওতায় আনা হোক।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মো: গোলাম কিবরিয়া / বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ধীরেন্দ্র প্লাজা (৫ তলা), কলেজ গেইট, টঙ্গী, গাজীপুর। মোবাইলঃ 01785465360
Copyright © 2024 জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা. All rights reserved.