1. admin@weeklyjagrotojanata.com : admin :
যশোর বিআরটিএ র' ওমর ফারুক, রিফাত ও মুন্সী আব্দুল আলীম এদের নির্দেশে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করছে দালাল সাইফুল কে এই সাইফুল এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়? - জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
চালাষ ক্রীড়া চক্র ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জ বিএনপির অভিভাবক কে? খুলনায় ওজোপাডিকো’র প্রধান কার্যালয়ে দুদকের অভিযান নড়াইলের লোহাগড়ায় ৫৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ১ খুলনার পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ করা করেছে যশোরের মনিরামপুর শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদে বন্যার্তদের মাঝে জি আর চাউল বিতরণ কাশিয়ানীতে চিকিৎসার নামে প্রতারনা জরিমানা ১০ হাজার টাকা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ধনবাড়ী থানা পুলিশ বড়দিন উপলক্ষে বান্দরবান সেনা জোনের পক্ষ হতে উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন -জোন কমান্ডার মাহমুদুল হাসান নাগরিক সেবা এ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করলেন- অধ্যাপক থানজামা লুসাই

যশোর বিআরটিএ র’ ওমর ফারুক, রিফাত ও মুন্সী আব্দুল আলীম এদের নির্দেশে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করছে দালাল সাইফুল কে এই সাইফুল এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়?

জাগ্রত জনতা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : যশোর বিআরটিএ র’ মোটরযান পরিদর্শক মোঃ ওমর ফারুক ও সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রিফাত হোসাইন এর নির্দেশে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করে আসছে ২০০৩ থেকে সাইফুল ইসলাম কে এই সাইফুল এর ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়।

যশোর বিআরটিএ র’ যত দালাল রয়েছে এই সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত, এবং দালালদের সঙ্গে যশোর বিআরটিএ র’ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।

জাগ্রত জনতা পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের তথ্য অনুযায়ী সাইফুল ইসলাম সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত কোন চাকুরীজীবী নন তাহলে কেন এই সাইফুলকে দিয়ে রেকর্ড রুমের দায়িত্ব পালন করাচ্ছেন যশোর বিআরটিএ র’ উদ্বোধন কর্মকর্তারা, যশোর বিআরটিএ র’ যে সব দালাল রয়েছে এই সব দালাল চক্রকে লালন পালন করে রেখেছেন, মোঃ ওমর ফারুক মোটরযান পরিদর্শক, রিফাত হোসাইন সহকারী মোটরযান পরিদর্শক,স্বপন কুমার দাস অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রোক্ষরিক,ও মুন্সী আব্দুল আলীম অফিস সহয়ক, এদের মাধ্যমে দালালদের দৌরত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে এই দালাল চক্রটি সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে কাজ করে থাকেন। মোঃ ওমর ফারুক মোটরযান পরিদর্শক তিনি প্রশিক্ষণ ও ফিল্ডটেস্টের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই তার পরেও কর্মকর্তারা, প্রত্যেক সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে ১৫০০, থেকে ২০০০/ টাকা নিয়ে থাকেন।

এই সব অতিরিক্ত টাকা দালাল থেকে শুরু করে যশোর বিআরটিএ র’ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন। মুন্সী আব্দুল আলীম, রিফাত হোসাইন‌ও দালাল মনির, এরা কি কারণে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন এই বিষয়ে জাগ্রত জনতা অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি অজ্ঞাতনামা একজন সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, এই ভুক্তভোগীর সাথে অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকদের সাথে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে ভুক্তভোগী বলেন আমি প্রথমে লাইসেন্স নবায়নের জন্য যশোর বিআরটিএ তে আসি, অফিসের ভিতরে যেয়ে ১ নং ডেস্কে মুন্সী নাম করে যে বসে ছিলেন তাকে আমি বললাম যে ভাই আমার লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে উনি সব কিছু শুনার পরে মুন্সী সাহেব আমাকে বলল যে আপনার লাইসেন্স নবায়ন করে দেয়া যাবে তবে ৮০০০/ টাকা দিতে হবে।

আমার কাছে মুন্সী সাহেব যখন আট হাজার টাকা চেয়েছেন তখন আমি রাজি না হযে অফিস থেকে নিচে নেমে আসি নিচে এসে কম্পিউটার থেকে পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন বের করি, আবেদনের তারিখ অনুযায়ী আমি পরীক্ষার মাঠে যায়।

তখন পরীক্ষার হলের ভিতরে বসে ছিলেন রিফাত সাহেব উনি আমাকে প্রশ্ন করলেন যে আপনি কি কোন দালালের মাধ্যমে আসছেন কিনা আমি তখন রিফাত সাহেবকে বললাম যে স্যার আমি নিজেই আসছি কারো মাধ্যমে আসিনি তখন তিনি আমাকে বললেন যে আপনাকে পাস করে দেওয়া হবে তবে যদি আপনি যদি আমাকে ৮৫০০/ টাকা দিতে পারেন তাহলে আপনাকে পাস করে দেওয়া হবে আর যদি এই টাকা না দেন তাহলে আপনাকে ফেল দেখিয়ে বাদ করে দেওয়া হবে। আমি টাকা দিতে রাজি হয়নি তার পরে আমি পরীক্ষা দিয়ে চলে আসি, পরের দিন আমাকে এসএমএস করে জানিয়েছেন যে আমি পরীক্ষাতে ফেল করেছি কিন্তু আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে রিফাত সাহেব ফেল করে দিয়েছেন।

অনুসন্ধান টিমের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং করে আসছি অথচ আমাকে পরীক্ষায় বাদ দেওয়া হয়েছে তখন আমি সাংবাদিকদের বলি যে আমার কাছে অফিস থেকে মুন্সী নামে একজন ৮০০০/ টাকা চেয়েছিল আমি দিতে রাজি হয়নি,পরে মাঠে রিফাত সাহেবের সাথে লাইসেন্সের বিষয় কথা বলি তিনি ও আমার কাছে ৮৫০০/ টাকা চেয়েছিল কিন্তু আমি টাকা দিতে রাজি হয়নি বিদায় আমাকে ফেল করে দিয়েছেন।

যশোর বিআরটিএ র’ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের এভাবেই জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন। প্রশাসনের নিকট জানানো যাচ্ছে যে যত দ্রুত সম্ভব এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করিবেন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর