অনিক ঘোষ,(বীরগঞ্জ-কাহারোল),দিনাজপুর: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বড়হাট পাথরঘাটা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভেঙে গেছে। এতে নদীর দু’পাড়ের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে প্রবল স্রোতের কারণে নদীর পাড়ের রাস্তা, ফসল ও কৃষি জমি বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভাগীরপাড়া গ্রামের বড়হাট এলাকার পাথরঘাটা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভেঙে কিছু অংশ ভেসে যায় নদীতে। নদীর প্রবল স্রোতে পাড় ঘেঁষে সড়কের কিছু অংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হলে ১০টি গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
ভাগীরপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, বৃষ্টিতে নদীর উপর সাঁকোটা ভেসে গেছে। এতে চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে ১০টি গ্রামেও অসংখ্য মানুষ। চলাফেরা করা যাচ্ছে না কোথাও। অনেক দূর ঘুরে হাটে বাজারে যেতে হচ্ছে।
বৈরাগী বাজার গ্রামের সাধারণ মানুষ জানালেন, রাস্তাটি নদীর ধার ঘেঁষে হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিবার মেরামত করা হলেও ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়নি এবার। শুধু সাঁকো নয়, রাস্তা এবং কৃষি জমির কিছু অংশও নদীতে ধীরে ধীরে বিলীন হতে চলেছে। বৃষ্টিতে রাস্তা ও সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ এলাকার মানুষ।
মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন জানান, আনুমানিক দু’বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এ সাঁকো দিয়ে বৃষ্টিশপাড়া এবং প্রফেসর পাড়াসহ প্রায় ৮/১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সাঁকোর উপর দিয়ে সিপাইদীঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাথরঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। কিন্তুু গত তিন দিনের টানা বর্ষণে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় সাঁকোটি ভেঙে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীসহ এ এলাকার হাজারও মানুষ।
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।যা গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড।
দিনাজপুর জেলা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপার হয়েছে।