ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ দ্বিতীয় পর্ব
নিজস্ব প্রতিবেদন : আওয়ামী সরকারের গত ১৫বছরে বান্দরবানে দূর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা ও বিপুল সম্পদের মালিক,সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও তার স্ত্রী মেহ্লাপ্রু মারমা।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৫ বছরে সরকারি,বেসরকারি সিংহভাগ বরাদ্দের বেশির ভাগ অর্থই তার আশীর্বাদপুষ্টদের দিয়ে লুটপাটের রাজ্যে পরিণত করে নিজ সংসদীয় আসন বান্দরবান জেলাকে দুর্নীতির সর্বোচ্চ আসনে পরিণত করে বীর বাহাদুর উশৈসিং হয়ে যায় হাজার হাজার কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক ।
সম্পদ এর বিবরণ : বান্দরবানে ৫ তারকা মানের হোটেল ভেনাস ( বাউন্ডারি ওয়াল থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদের অর্থ ব্যায় করা হয়েছে) বান্দরবান সদরে হোটেল হিলটন।হোটেল হিল কুইন, বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে ফ্ল্যাট।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস এলাকায় ৮ তলা একটি বিলাসবহুল বাড়ি।রাজার মাঠ এলাকায় ৬ তলা বিলাসবহুল বাড়ি।বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা ( যেখানে ব্যবহার হয়েছে জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ, স্থায়ী ক্যাম্পাস সড়ক এবং বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে এলজিডি, উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে)
বান্দরবান সুয়ালক এলাকায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সৃজিত বাগান,
বান্দরবান চন্দ্রঘোনা সড়কে বীর বাহাদুর নগর নামে এলাকায় রয়েছে হাজার কোটি টাকার রাবার বাগান ( যেখানে উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদ অর্থ ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর, রাস্তা এবং কালভার্ট)।বান্দরবানে বিভিন্ন জনের সাথে পার্টনারশীপে ৫ টি ইটভাটা রয়েছে।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ভফনের নীচের ফ্লোরে ভেনাস নামে একটি অভিজাত কাপড়ের শোরুম রয়েছে।বান্দরবান এবং চট্টগ্রাম রোডে কয়েকটি বিলাসবহুল পূরবী পূর্বানী গাড়ি রয়েছে।বান্দরবানের ঠিকাদার অমল কান্তি দাস, উজ্জ্বল কান্তি দাস, লামার প্রদীপ কান্তি দাস এবং আনিচুর রহমান সুজনের সাথে পার্টনারশীপে ঠিকাদারি ব্যবসা রয়েছে। যে কাজ নিয়ন্ত্রণ করতো মন্ত্রী নিজেই।.বীর বাহাদুরের স্ত্রী মেহ্লাপ্রু মার্মার নামে চট্টগ্রাম মোজাফফর নগর এলাকায় অন্তত বিশ কাঠা জায়গা রয়েছে, তার সাথে মালিকানায় রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা। চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ হাউজিং এলাকায় রয়েছে তিনটি ফ্ল্যাট।ঢাকায় রয়েছে নামে বেনামে জায়গা এবং একাধিক ফ্ল্যাট।
নেপালেও তিনি বাড়ি করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বড় ছেলে রবিন বাহাদুর পড়ালেখার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াতে টাকা পাচার করেছেন গত কয়েক বছর ধরে, সেখানে বাড়িও করেছেন এবং বড় ছেলে ওখানে বসবাস করেন।
কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে মন্ত্রীর ছেলে রবিন বাহাদুরের নামে একটি আবাসিক হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে।পরিবার এবং নিজের জন্য কেনা হয়েছে কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি।কক্সবাজার কলাতলী পয়েন্টে ১২ গন্ডা জায়গা রয়েছে।চট্টগ্রাম নুর বেগম হাউজিংএ ২০ কাঠা জায়গা।বান্দরবান বৌদ্ধ টেম্পল এর অপর পাশে বীর বাহাদুর এবং ক্য শৈ হ্লা জোর করে ১০ গন্ডা জায়গা দখল করারও তথ্য রয়েছে।
তার নেতৃত্বে ভূমি দখল, নিজ মালিকানাধীন রিসোর্ট,বাড়ী ও পর্যটন কেন্দ্রে জেলা পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে সরকারি অর্থ ব্যয়ে রাস্তা ও অনেক রকমের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও নিজের মালিকানাধীন জায়গায় সরকারি রাস্তা স্থাপন করেন যা নজির বিহীন। বান্দরবান বিশ্ব বিদ্যালয় নামে নিজ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ৬শ একর সরকারী জমি আত্মসাৎ করেছেন।
ব্যক্তি মালিকানাধীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বরাদ্ধ নিয়েছেন প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বান্দরবান পার্বত্য জেলার কাঠ ব্যবসায়ী, ইটভাটা, বনবিভাগ থেকে প্রদেয় পারমিট ইত্যাদি থেকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট চাঁদাও আদায় করতেন। সরকারের উনয়নমূলক প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে তার নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে প্রতিটি টেন্ডারও নিয়ন্ত্রণ করতেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায় সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর বিরুদ্ধে।