কাজী স্বাধীন স্টাফ রিপোটার : নওগাঁ বন্ধু মিতালী সমিতি ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে পরিবার সহ উধাও হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। লাগাতার কর্মসূচি ও মামলা করেও ভুক্তভোগীরা সঞ্চিত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।
জেলা সমবায় সমিতি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ১১টি উপজেলায় নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা ১ হাজার ৬২০টি। এগুলোর মাধ্যমে ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৪৫০টি সমিতি। এর মধ্যে চলতি বছর আটটি সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা গ্রাহকের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। তার মধ্যে বন্ধু মিতালী অন্যতম নওগাঁ সদরে পোস্ট অফিস পাড়া তাদের হেড অফিস ছিল।
তার গ্রামের বাড়ী জগৎসিংহপুরে অফিস সহ অডিটোরিয়াম আছে, বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন উপজেলার ব্যতিক্রম ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সুত্রে জানতে পারা যায়। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর থেকে সমিতির সদস্যরা সবাই একসঙ্গে আমানতের টাকা ফেরত চাইতে শুরু করে। সবাই একসঙ্গে জমা টাকা ফেরত চাওয়ায় বেকায়দায় পড়েন।
গ্রাহকদের থেকে নেওয়া আমানতের টাকা ও সঞ্চয় আছে সেই টাকা ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কাছে ঋণ দেওয়া। ওই টাকা তুলতে না পারায় সদস্যদের টাকা ফেরত দিতে পারছেন না। কিছুদিন আগে হেড অফিস সহ সব অফিসে ঝামেলা সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৬ মাসের সময় নেওয়া হয় কিনতু গ্রহকরা তা মেনে নিলে আগের মতো সাভাবিক ভাবে অফিসের কাজকর্ম চলছিল।
হঠাৎ করে সবাই আমানতের টাকা সহ লাভের টাকার জন্য চাপ দিলে ও মরমুখি আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য গত বুধবার(১২ নভেম্বর) সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় বলে জানা যায়। নওগাঁয় ৪৫০টির মতো ঋণদানকারী সমিতির কার্যক্রম চলমান। এর মধ্যে কয়েকটি সমিতি সম্প্রতি গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত না দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যক্রম বন্ধ করেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে এসব সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ও থানায় একাধিক মামলা চলমান। গ্রাহকদের থেকে টাকা নিয়ে তা উৎপাদনশীল খাতে না খাটিয়ে সমিতির কর্মকর্তারা জমিজমা কিংবা বাড়ি-গাড়ি কিনে থাকেন, এসব করতে গিয়ে সমিতিগুলো দেউলিয়া হয়ে যায়। ভবিষ্যতে যেকোনো সমিতির ওপর তাঁদের মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানো হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) এর সাবেক সদস্য কাজী স্বাধীন বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সমবায় কার্যালয়ের অসতর্কতার কারণে এসব হচ্ছে। এতে নিরীহ ও অসহায় মানুষ সমিতির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে নিবন্ধনের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। নিবন্ধন দেওয়ার পর সমবায় সমিতিগুলোকে মনিটর করতে হবে। খবর পাওয়া যাচেছ সমবায় সমিতির কিছু কর্মকর্তারাও এদের সাথে জরিত থাকার খবর লোক কানে শোনা যাচেছ। তাই সঠিক তদন্ত করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও তদারকি বাড়াতে হবে।
জন্য সাধারন মানুষের দাবি উঠেছে। আমরা আশা করছি আগামীতে এই ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হবে। সাধারন গ্রাহকদের দাবী খুব দ্রুত বন্ধু মিতালীর পরিচালক সহ সবাইকে ধরে এনে আমানতের টাকা ফেরত সজ কঠিন শাস্তি দেয়া হোক।