1. admin@weeklyjagrotojanata.com : admin :
ছাত্র নামধারী 'বিশেষ' দলের কর্মীদের সরকারি দপ্তরে কাজ কী? - জাতীয় সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
চালাষ ক্রীড়া চক্র ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জ বিএনপির অভিভাবক কে? খুলনায় ওজোপাডিকো’র প্রধান কার্যালয়ে দুদকের অভিযান নড়াইলের লোহাগড়ায় ৫৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ১ খুলনার পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ করা করেছে যশোরের মনিরামপুর শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদে বন্যার্তদের মাঝে জি আর চাউল বিতরণ কাশিয়ানীতে চিকিৎসার নামে প্রতারনা জরিমানা ১০ হাজার টাকা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ধনবাড়ী থানা পুলিশ বড়দিন উপলক্ষে বান্দরবান সেনা জোনের পক্ষ হতে উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন -জোন কমান্ডার মাহমুদুল হাসান নাগরিক সেবা এ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করলেন- অধ্যাপক থানজামা লুসাই

ছাত্র নামধারী ‘বিশেষ’ দলের কর্মীদের সরকারি দপ্তরে কাজ কী?

জাগ্রত জনতা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে’ প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরে অন্যায় ভাবে প্রভাব বিস্তার করায় ক্ষোভ ‌দেখা দিয়েছে। ছাত্র সেজে সরকারের ভেতরে প্যারালাল সরকার গড়ে তুলে সবকিছু নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করায় আমলা ও সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের মাঝে এ নিয়ে বিরক্ত ও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তুলনামূলক কম অবদান থাকা ছাত্র সংগঠনটির এহেন কর্মকাণ্ড নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক চলছে। নেটিজেনরা প্রতিবাদ করছেন, নানান মন্তব্য-বক্তব্য দিচ্ছেন।

জানা যায়, ছাত্র সংগঠনটি সচিবালয় থেকে শুরু করে জেলা-মহুকুমা এমনকি অধিদফতর, পরিদফতর, কর্পোরেশন, ব্যাংক-বিমা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনে প্রভাব বিস্তার করছে। সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পছন্দের বাইরে গিয়ে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে নিয়মিত লোক বসিয়ে রেখে আমলাদের কার্যক্রম নজরদারি করছে দলটি। অযাচিতভাবে এভাবে প্রস্তাব বিস্তারের কারণে ড. ইউনূস সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো জানা যায়, তাদের ইচ্ছার বাইরে ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত’ নিতে পারছেন না ডিসি-এসপিরা। অভিযোগ উঠেছে, ’৭২-এর মতো মুজিব বাহিনীর সদস্যদের স্টাইলে একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে। তাদের মত করেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রশাসনে কর্মরতদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা উপদেষ্টাদের চেয়ে এসব ছাত্র সমন্বয়কদের ভয়ে আতঙ্কিত থাকেন। ছাত্র সমন্বয়ক কোনো অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাকে কোনো নির্দেশনা দিলে তা দ্রুত কার্যকর করতে হচ্ছে। এমনকি হাসপাতালে রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসায় কমিটি গঠন, নিয়োগ-বদলি, বরখাস্তসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ছাত্র সমন্বয়কদের কথা মতো করতে হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টার মতিগতি ও কর্মদক্ষতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস শক্তহাতে দেশের হাল ধরেছেন। ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ককে সরকারে অন্তর্ভুক্তি করেছেন। তারপরও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু সমন্বয়ক প্রশাসনে ছড়ি ঘুড়াচ্ছেন। যা সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত করছে।‌

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন সমন্বয়ককে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা বেশ সাফল্য দেখাচ্ছেন। এ ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কয়েকজন সমন্বয়ককে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। অন্য ছাত্র সমন্বয়কদের কেনো কিছু প্রয়োজন এবং প্রত্যাশা থাকলে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্য থেকে সরকারে থাকা উপদেষ্টাদের মাধ্যমে করতে পারেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

নেটিজেনরা বলছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী হারিয়েছে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো। দলটির প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। সে তুলনায় ওই ছাত্র সংগঠনটির অবদান ১০ শতাংশেরও নিচে। কিন্তু তারা সবকিছুতে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনে অচল অবস্থা তৈরি করছে। এতে সাধারণ জনগণের মাঝে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পর্কে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। ফলে সরকারের সংস্কার কার্যক্রম ব্যাহত হলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখের মুখে পড়বে। এ অবস্থার দ্রুত নিরসন চান‌ নেটাগরিকরা।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর