যশোর জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় বড়ভাই সামছুল হুদাকে (৩৫) কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্ত আনোয়ারুল (২৮) আত্মগোপনে ছিলেন যশোর ঝুমঝুমপুর বাবলাতলা এলাকার একটি বাড়িতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। যশোর র্যাব-৬ এর একটি চৌকষ দল অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করেছেন আনোয়ারুলকে। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছেন জমিজমা বিরোধে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
গ্রেফতার আনোয়ারুল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার তালুক কানুপুর গ্রামের বাসিন্দা।যশোর র্যাব-৬ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোরের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে-গত ৫ জুন বিকেলে আনোয়ারুল ইসলাম তার বড়ভাই সামছুল হুদাকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মাথায় কোদাল দিয়ে কোপ দেয়। স্বজনরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার ৩ দিন পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লাবনী খাতুন (৩০) বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আসামী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) আত্মগোপন করে। র্যাব-১৩ এর একটি আভিযানিক দল পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং র্যাব-১৩ এর মাধ্যমে র্যাব-৬, যশোর ওই ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়। পরে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে আসামী যশোর ঝুমঝুমপুর বাবলাতলা এলাকার একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে আছেন। ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে টার দিকে র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এর একটি আভিযানিক দল আসামী গ্রেফতারে রওনা হয়। রাত আনুমানিক ৭টার দিকে আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ক্যাম্পে আনেন র্যাব সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারুল হত্যার দায় স্বীকার করে বলেছেন-তিনি বড়ভাইয়ের মৃত্যু খবরে নিজেকে আত্মগোপন করতে প্রথমে জয়পুরহাটে যায়। পরে যশোরে এসে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছিল।