গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় শাশুড়ী মাদক ব্যবসায়ী ময়না বেগমের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদকস্পট পরিচালনা করে এক সময় ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা সোলাইমান এর মেয়ে রোজী এখন কোটিপতি বনে যাওয়া এক রাঘববোয়ালের খবর পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হচ্ছে।
তবুও তার টনক নড়েনি। পুলিশ তার হাতের মুঠোয় এমন কথা নিজেই বলে বেড়াচ্ছে এলাকায়। তার অনেক ক্ষমতার দাপটও আছে।তিনি গাজীপুরের টঙ্গী কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী তাজুর বউ রোজী।অভিযোগ রয়েছে, মাদক ব্যবসায়ী রোজীর নামে কোন মামলা না থাকলেও স্বামী তাজু ও শাশুড়ী ময়না বেগমের নামে একাধিক মামলা চলমান।
টঙ্গী কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ এলাকার পক্কির মেয়ে হিসেবে পরিচিত রোজী বেগম গত ১২ থেকে ১৩ বছর আগেও টঙ্গী রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে তেজগাও স্টেশনে পিঠা বিক্রি করতেন।
এখন তিনি এই সময়ের মধ্যেই একাধিক বাড়ি ও গাড়ীর মালিক বনে গেছেন।শুধু তাই নয়, টঙ্গী কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ এলাকায় মাদকের স্পটও পরিচালনা করেন।আর এই মাদক স্পট সৈরাচারী রাজনৈতিক সরকারের সময় রাজনীতি করা রোজীর শাশুড়ী ময়না বেগমের সহযোগিতায় চলছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, রোজীর বাবা সোলাইমান ১৫/১৬ বছর আগে কর্মের তাগিতে টঙ্গী ব্যাংক মাঠ বস্তিতে কামাল সাহেবের বাড়ী ভাড়া নেন পরে ঢাকায় রিক্সা চালতো আর বিকেলে টঙ্গীর রাস্তার পাশে বসে পিঠা বিক্রি করতো।
এক সময় মাদক ব্যবসায়ী ময়না ছেলে মাদক কারবারি তাজুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।পরে পালিয়ে বিয়ে করে রোজী এতেই যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পান রোজী ও তার পরিবার।
কিছুদিনের মধ্যেই রোজীর পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সাথে জরিয়ে পরে।
ব্যাংকের মাঠ লোক দেখানো চায়ের দোকানে বসে প্রকাশে বিক্রি করে মাদক।
সূত্র জানায়, এলাকায় ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবার ব্যবসা রমরমা চলছে। এলাকার বলতে গেলে একপ্রকার প্রকাশ্যেই এসব ব্যবসা চালানো হচ্ছে।স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বেই এসব মাদক স্পট চালানো হচ্ছে।আবার পুলিশের কতিপয় অসৎ সদস্য এবং সোর্সদের মাধ্যমেও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ৮ থেকে ১০বছর আগেও মাদক ব্যবসায়ী রোজীর বাবা সোলেমান রিক্সার চলানোর পাশাপাশি পিঠা বিক্রি করতো । এখন এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সরকারি জায়গায় দখল করে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।