স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ০৯নং হরিরামপুর ইউনিয়নের বাজুনিয়াপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে কথিত কয়েন ম্যান শহিদুল ইসলামের ও তার সহযোগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগ থানায় জমা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা জানা যায়, গ্রামের একজন সহজ সরল মানুষকে বলা হয় সরকারি প্রনোদনা এসেছে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দেন তাহলে আপনাকে প্রণোদনা দেওয়া হবে। ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিলেই চক্রের জালে আটকে গেল ঐব্যক্তি।
এর পরে বিভিন্ন অজুহাতে শুরু হয় প্রতারনা। কখন বলা হয় আপনার ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে খরচের টাকা দিতে হবে। কখন আবার বলে বড় স্যারেরা আসবে তাদের জন্য মঞ্চ বানানো খরচ লাগবে। আবার বলে আপনাদের একাউন্টে ডলার জমা হবে এই ডলার তোলার জন্য পঁচিশ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে এই ছবি গুলো বিভিন্ন দেশের ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। যেহেতু অন্যদের ব্যাপার এবং কোটি টাকার বিষয় একারনে টাকা গুলো সহজে আনা সম্ভব হচ্ছে না তাই সময় নাগছে।
এভাবে দুই বছর যাবত প্রায় ৪০ হাজার মানুষের নিকট হতে ভোটার আইডি জমা নিয়ে টাকা নিয়েছে এই চক্র।
ভুক্তভোগীরা যখন টাকার জন্য চাপ দেয় তখন এই চক্রটি সুন্দরগঞ্জে এক মহিলা এই চক্রের সদস্য ওজিবা ম্যাডামকে ডেকে এনে এই সাধারন মানুষকে বোকা বানায়। ওজিবা এসে এই গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বলে নাকাই বাজারে আর্মি ক্যাম্প হবে। এই মানুষ গুলোকে সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য। প্রতি সদস্যদের জন্য টাকার ব্যাগ গুলো সৈয়দপুর ইয়ারপোর্টে এসে অপেক্ষা করেছে আগামী ১৫ দিবের মধ্য টাকা পেয়ে যাবেন এই পনের দিন পরে এক একজন কোটি টাকার মালিক হবেন তখন তো আমাদের চিনবেন না। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করছি শহিদুলকে সহযোগিতা করেন তাহলে টাকা পেতে সহজ হবে। এভাবে দিন,মাস বছর পার করে সাধারন মানুষকে বোকা বানাচ্ছে এই প্রতারক চক্র।
নাকাই, হরিরামপুরসহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন। সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া,কামালের পাড়া ইউনিয়নসহ জেলায় চলছে প্রতারণার ফাঁদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ।
উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বাজুনিয়া পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম(খচুরু) নিজে এবং কর্মি নিয়োগ করে সদস্য ভর্তিফি ৩০০০,৫০০০,৮০০০, ১০০০০, ১২০০০ পর্যন্ত আদায় করে নিচ্ছে।
গত আড়াই বছরে প্রায় ১০হাজার ১২,হাজার করে প্রায় ৪০ হাজার সদস্যা ভর্তি করে নেয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন খচুরুর নিকটতম কর্মী। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজন সদস্যকেও কাঙ্খিত টাকা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে এই প্রতারককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।এদিকে প্রতারণা প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে শহিদুল ইসলাম গং।
এবিষয়ে প্রতারক চক্রের হোতা শহিদুল বলেন, এটা সরকারী প্রকল্প আগামী এক মাসের মধ্য সবাই জানতে পারবে। সরকারি কোন প্রকল্প কেন টাকা তুলছেন বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোন উত্তর দেয় না।
চক্রের সহযোগী হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার শাহারুল বলেন, এটা কোন সমস্যা নাই কে নিউজ করে করুক। একমাসের মধ্য বর্তমান সরকার ডঃ ইউনুস আমাদের এখানে আসবে সকল সদস্য টাকা পাবে এটা সরকারী প্রজেক্ট। সরকারি কোন প্রজেক্টে টাকা তুলছেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দিতে পারে না।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বুলবুল আহমেদ বলেন, অতিদ্রুত এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।